কানাডায় বিএনপি’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উৎযাপন
সুরমা ডেস্ক।। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে অটোয়া বিএনপি এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।
অটোয়ার ডন-গাম্বল কমিউনিটি সেন্টারে মো: মঞ্জুর মোরশেদের সভাপতিত্বে এবং ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান লিটনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত আশরাফ উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন নবী হোসেন, কবিতা নূর এবং এস এম হুমায়ুন পাটওয়ারী।
কোরআন তেলাওয়াত ও মোনাজাতের মাধ্যমে দেশ জাতি ও বিএনপি’র সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কেটে অনুষ্ঠান শুরু হয়। বিএনপি’র গঠন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের সূচনা, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাসনামল এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে তার অবদানসহ বর্ণাঢ্য জীবনের উপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। ইঞ্জিনিয়ার লিটন ছোট ছোট কবিতার মাধ্যমে উপস্থাপনা করে অনুষ্ঠানটিকে আকর্ষণীয় ও প্রাণবন্ত করে তোলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাঈদ আনোয়ার।এছাড়াও সভায় বক্তব্য রাখেন ফয়সাল চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন, জুলফিকার রহমান, জয়নাল আবেদীন জামিল, দেওয়ান রাজ্জাক রাজু, আব্দুল মান্নান, ফারুক হাওলাদারসহ অনেকেই।
প্রধান অতিথির ভাষনে আশরাফ উদ্দিন বলেন, জিয়াউর রহমানের চৌকস শাসন, বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং উন্নয়নে তার অবদান জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে। জিয়াউর রহমান শুধু বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা নন তিনি বাংলাদেশের ও প্রতিষ্ঠাতা।
বিশেষ অতিথি নবী হোসেন তার বক্তব্যে বাংলাদেশের উন্নয়নে বিএনপি’র প্রয়োজনীতা তুলে ধরেণ। কবিতা নূর অটোয়া বিএনপি’র অতীত কার্যক্রমের স্মৃতিচারণ করেন।
এস এম হুমায়ুন পাটওয়ারী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন, ৭২-৭৫ এর দূর্ভিক্ষ থেকে খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও বাকস্বাধিনতা প্রতিষ্ঠা, বিদেশে জনশক্তি রপ্তানীর মাধ্যমে বেকারত্ব হ্রাসসহ জাতির দূঃখ-দুর্দশা থেকে মুক্তির দূত হিসেবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার অবদান ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে আছে। আর এখন তারেক রহমানের নেতৃত্বে চলমান সংগ্রামকে জয়ী করে আওয়ামী জাহেলিয়াত থেকে দেশকে মুক্ত করে জনগণ গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আরেক আরেক ইতিহাস রচনা করবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
সভাপতির বক্তব্যে মো: মঞ্জুর মোরশেদ বলেন, ৪৫ বছরের নানান ঘাঁত-প্রতিঘাতের মাধ্যমে বিএনপি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দলে পরিণত হয়েছে! তিনি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবি জানান এবং ফ্যসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের সফলতা কামনা করেন।
পরিশেষে অনুষ্ঠান আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা ও উপস্থিতির জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।