ওসমানী বিমানবন্দর সম্প্রসারণে ব্যয় ২১১৬ কোটি টাকা
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য দুই হাজার ১১৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে পূর্ত কাজের জন্য চীনের এক প্রতিষ্ঠানকে ঠিকাদার নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
আজ বুধবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ (প্রথম পর্যায়) প্রকল্পের পূর্ত কাজসহ অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়ন বাস্তবায়নে দরপত্র আহ্বান করলে ছয়টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। এর মধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠান রেসপনসিভ হয়।
কারিগরিভাবে রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান চীনের বেইজিং আরবান কন্সট্রাকশন গ্রুপ লিমেটেডকে (বিইউসিজে) দুই হাজার ১১৬ কোটি ৫১ লাখ টাকায় ঠিকাদার নিয়োগে ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয় বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
চীনে কোরনাভাইরাস প্রার্দুভাবে এ সম্প্রসারণ কাজ বিলম্বিত হবে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে এ কাজ শুরু করতেও কমপক্ষে ছয় মাস লেগে যাবে তাই বিলম্ব হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্ধিত যাত্রী ও কার্গো হ্যান্ডেলিং চাহিদা মেটানোর জন্য ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন, কার্গো টার্মিনাল ভবন ইত্যাদিসহ অন্যান্য অবকাঠামোগত সুবিধাদি বৃদ্ধি প্রয়োজন। ফিজিবিলিটি স্টাডিসহ প্রয়োজনীয় ড্রইং-ডিজাইন প্রণয়নে কোরিয়াভিত্তিক খ্যাতনামা আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান (ইয়োশিন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন কোরিয়া)-হিরিম আর্কিটেকচার অ্যান্ড প্ল্যানার্স কোম্পানি লিমিটেড জেভিকে নিয়োগ করা হয়।
সম্ভাব্যতা সমীক্ষার প্রথম পর্যায়ের কাজ বাস্তবায়নে অর্থাৎ ২০৩৯ সাল পর্যন্ত বিমানবন্দরের যাত্রী ও কার্গো হ্যান্ডলিং চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে একটি আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন, কার্গো টার্মিনাল ভবন, কন্ট্রোল টাওয়ার, বোর্ডিং ব্রিজ, পার্কিং অ্যাপ্রোন, টেক্সিওয়ে, কারপার্ক, সংযোগ সড়কসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠমো নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয়। সে মোতাবেক জিওবি ও সিএএবির নিজস্ব অর্থায়নে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য দুই হাজার ৩০৯ কোটি ৭৯ রাখ ১৪ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ‘ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রাসরণ (প্রথম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়। প্রকল্পের ডিপিপি ২০১৮ সালের ৭ নভেম্বর সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়।